চলতি বছর থেকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় ২০০ নম্বরের পরীক্ষা কমিয়ে নতুন মানবণ্টন নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে ১০০ নম্বর করে পরীক্ষা কমেছে। আর ঐচ্ছিক বিষয় শ্রেণিকক্ষে ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসি) সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন।
সভা শেষে তিনি বলেন, জেএসসিতে এখন ৮৫০ নম্বরের পরিবর্তে ৬৫০ নম্বর এবং জেডিসিতে ১০৫০ নম্বরের পরিবর্তে ৮৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে চাপ কমাতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাংলা ও ইংরেজির বিষয় কমায় ১০০ নম্বরের জন্য সিলেবাস নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে সোহরাব হোসেন বলেন, এমন হতে পারে এমসিকিউ এক লাইন লিখতে হবে। সচিব নতুন সিলেবাসের বর্ণনা দেননি।
তবে সভা সূত্রে জানা গেছে, ইংরেজি দুইপত্র মিলে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে গ্রামার অংশ থেকে ৩০ নম্বর, আনসিন অংশ ২৫, সিন অংশ ২০ ও রাইটিং অংশ থেকে ৩০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। বাংলা দুইপত্রে মিলিয়ে এ বছর থেকে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে এমসিকিউ ৩০, সিকিউ ৭০ নম্বরের। এমসিকিউ ৩০ নম্বরের মধ্যে গদ্য ও পদ্যাংশ থেকে আটটি করে এবং ব্যাকরণ অংশ থেকে ১৪টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান হবে এক নম্বরের অর্থাৎ মোট ৩০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হবে। এমসিকিউ ৭০ নম্বরের মধ্যে বাংলা প্রথমপত্র থেকে ৪০ নম্বরের এবং দ্বিতীয়পত্র থেকে ৩০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। প্রথম পত্রের গদ্যাংশ (গল্প) থেকে চারটি প্রশ্ন থাকবে। দুটি লিখতে হবে। আর পদাংশ (কবিতা) থেকে তিনটি প্রশ্ন থাকবে। দুটি লিখতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান হবে ১০ নম্বর করে। আর দ্বিতীয় পত্রে রচনা ১৫, সারাংশ ৫, চিঠি ৫ ও ভাবসম্প্রসারণ ৫ নম্বর করে মোট ৩০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
জেএসসি-জেডিসিতে এতদিন বাংলা ও ইংরেজির দুটি করে পত্রে ১৫০ নম্বরের পরীক্ষা হতো। এখন বাংলা ও ইংরেজিতে আর আলাদা পত্র থাকবে না। একেকটি বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এছাড়া জেএসসি-জেডিসির চতুর্থ বিষয়ের (গার্হস্থ্য অর্থনীতি/কৃষি) পরীক্ষা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করা হবে। জিপিএ নির্ধারণের ক্ষেত্রে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।
সভায় আরো উপস্থি
Comments